কাজেই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের এফিলিয়েশন সম্পর্কে জেনে তাদের মধ্যে থেকে সুবিধেজনক কোম্পানী বাছাই করতে হয়। এক যায়গায় তাদের পরিচিতি পাওয়া সেই সুযোগ করে দেয়। এজন্য বেশকিছু সাইট রয়েছে যারা নানা ধরনের এফিলিয়েশনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করে। এধরনের একটি নেটওয়ার্কের পরিচিতি তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
এফিলিয়েট সিকিং সাইটে বিভিন্ন এফিলিয়েশনের ধরন অনুযায়ী ভাগ করে শতশত কোম্পানীর পরিচিতি পাওয়া যাবে। Affiliate Networks, Ad Networks, 2 Tier Programs, Pay per Sale, Pay Per Lead, Residual Income ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কিছু উদাহরন।
এখান থেকে ভাল ফল পাওয়ার জন্য আপনি যা করতে পারেন,
. প্রথমে কোন ধরনের এফিলিয়েশনের বৈশিষ্ট কি জেনে নিন।
. আপনার প্রচারের জন্য সুবিধেজনক ধরনের মধ্যে যে কোম্পানীগুলির পরিচিতি দেয়া আছে সেগুলি পড়ে দেখুন।
. কোন কোম্পানী পছন্দ হলে তাদের সদস্য হওয়ার শর্ত, কতটা আয় হতে পারে, কিভাবে টাকা পাবেন ইত্যাদি দেখে নিন।
. তাদের সাইটে গিয়ে সদস্য হোন এবং তাদের লিংক প্রচার করে আয় করুন।
এফিলিয়েশন থেকে আয়ের সাধারন নিয়ম হচ্ছে
. ভালভাবে না জেনে কারো সদস্য হবেন না। তাদের সাইটে গিয়ে যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করুন। প্রয়োজন হলে কোম্পানীর নাম লিখে সার্চ করে সেই কোম্পানী সম্পর্কে অন্যদের রিভিউ পড়ে নিন।
. টাকা দিয়ে সদস্য না হওয়াই ভাল। ইন্টারনেটে ভুয়া কোম্পানীর অভাব নেই।
. অনেক ইন্টারনেট সেবা বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না। পেপল, ক্লিকব্যাংক, কমিশন জাংশন ইত্যাদি সাধারন উদাহরন। অথচ এফিলিয়েশন ব্যবহারের সময় এগুলি গুরুত্বপুর্ন। এমন এফিলিয়েশন বাছাই করুন যেখানে এধরনের সীমাবদ্ধতার কারনে সমস্যা হবে না।
. অনেক কোম্পানী নিজস্ব ডোমেন না থাকলে এফিলিয়েশন দেয় না। যদি একে ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করতে চান তাহলে নিজস্ব ডোমেন এর কথা ভাবুন।
. প্রচার যত বেশি আয় তত বেশি। আপনার ব্লগে আকর্ষনীয় তথ্য রাখুন যেন বেশি ভিজিটর পাওয়া যায়। সেইসাথে প্রচারের জন্য অন্যান্য নিয়মগুলি মেনে চলুন।
সারা বিশ্বে বহু মানুষ তাদের পেশা হিসেবে এফিলিয়েশন ব্যবহার করছে। এর প্রধান সুবিধে হচ্ছে শুরুতে কাজটি কঠিন হলেও একবার চালু হলে নিয়মিত আয় আসতে থাকে।
পুরোপুরি পেশা হিসেবেই হোক আর খন্ডকালিন কাজ হিসেবেই হোক, যথেষ্ট পরিমান আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে এফিলিয়েশন।
এফিলিয়েট সিকিং এর ঠিকানা
0 comments:
Post a Comment