এধরনের প্রশ্ন কেউ করলে বিরক্ত হতে পারেন। এটা কোন প্রশ্ন হল! যে ছবির জন্য যে মোড সেটাই তো ব্যবহার করবেন। এজন্যই পোট্রেট, ল্যান্ডস্কেপ, ক্লোজআপ ইত্যাদি মোড তৈরী করা হয়েছে।
কথাটা ঠিক। এই মোডগুলির পরও রয়েছে এপারচার প্রায়োরিটি এবং সাটার স্পিড প্রায়োরিটি বলে দুটি মোড। এবং সবশেষে ফুল ম্যানুয়েল বলে একটি মোড। যেখানে সাটারস্পিড, এপারচার থেকে শুরু করে সমস্ত সেটিং আপনি ঠিক করে দিতে পারেন।
বর্তমানের প্রায় সব কম্প্যাক্ট এবং এসএলআর ক্যামেরাতেই রয়েছে অনেকগুলি সিন মোড। সাধারনভাবে ছবি উঠানোর সময় আপনার ক্যামেরা থেকে পছন্দের সিন মোড ব্যবহার করবেন এটাই স্বাভাবিক। পেশাদার ফটোগ্রাফাররা সেটিং এরজন্য ক্যামেরার ওপর নির্ভর করেন না। তারা এই নিয়মের বাইরে ছবি উঠান। কারন একটাই, তারা নিজের পছন্দের কিছু চান। এবং শুনে অবাক হতে পারেন, সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় এপারচার প্রায়োরিটি মোড।
বিষয়টি বোঝার জন্য এপারচার কি কাজ করে একটু দেখে নেয়া যাক।
এপারচার হচ্ছে লেন্সের জানালা। যখন পুরোটা খোলা থাকে তখন বেশি আলো প্রবেশ করে, যখন কম খোলা থাকে তখন কম আলো প্রবেশ করে। এপারচার প্রকাশ করা হয় সংখ্যা দিয়ে। ছোট সংখ্যা বেশি এপারচার বুঝায়। যেমন ৩.৫ এপারচারে ক্যামেরায় যে আরো প্রবেশ করবে ২২ এপারচারে তারথেকে আলো অনেক কম পাওয়া যাবে।
কাজেই, এপারচার কন্ট্রোল করার একটি প্রধান কারন সঠিক আলো ব্যবহার। বাইরে যদি আলো বেশি থাকে তাহলে সেটা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য এপারচারের মান কমাবেন (সংখ্যায় বাড়াবেন), আবার বিপরীতভাবে আরো কম থাকলে বেশি আলো পাবার জন্য এপারচার বাড়াবেন (সংখ্যা কমাবেন)। এপারচার কতটাগুরুত্বপুর্ন জানার জন্য এসএলআর এর লেন্সের দামের পার্থক্য একটু জেনে নিন। সর্বোচ্চ ৩.৫ এপারচারের লেন্স কেনা যায় কয়েকশ ডলারে, সর্বোচ্চ ২ এপারচারের লেন্সের দাম কয়েক হাজার ডলার।
কাজেই এপারচারের কাজ আলো নিয়ন্ত্রন করা থেকেও বেশি কিছু। এপারচার যত ছোট হয় ডেপথ অব ফিল্ড তত বেশি হয়। যেমন আপনি ল্যান্ডস্কেপের ছবি উঠাচ্ছেন যেখানে সামনের গাছপালা, দুরের পাহাড়, আকাশে মেঘ সবকিছুই স্পষ্টভাবে পেতে চান। সেক্ষেত্রে বেশি এপারচার ভাল ফল দেবে। কেউ কেউ নির্দিস্ট করে বলে দেন ল্যান্ডস্কেপের জন্য আদর্শ এপারচার সেটিং হচ্ছে ২২।
আর এপারচার যত বেশি হয় ডেপথ অব ফিল্ড তত কম হয়। একেবারে অল্প কিছু যায়গার বিষয়কে স্পষ্ট দেখা যায়, তারপরই বাকি অংশগুলি ঝাপসা হতে থাকে। আপনি একটি ফুলের ছবি উঠাচ্ছে যেখানে অন্যান্য ফুল-গাছপালাগুলি ঝাপসা দেখা যাবে, এজন্য বেশি এপারচার প্রয়োজন।
আপনি যখন এপারচার প্রায়োরিটি মোডে ছবি উঠাচ্ছেন তখন খুব সহজেই এপারচার পরিবর্তনের সুযোগ আপনার হাতে থাকছে। এপারচার প্রায়োরিটি মোডে এপারচার পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে সাটারস্পিড পরিবর্তিত হয়। কাজেই ওভারএক্সপোজার কিংবা আন্ডার এক্সপোজারের ভয় নেই। সেকারনেই এপারচার প্রায়োরিটি মোডের ব্যবহার এত বেশি।
সাটার স্পিড প্রায়োরিটি বিষয়টি বোঝা সেতুলনায় সহজ। আপনি হয়ত উড়ন্ত পাখি কিংবা চলন্ত গাড়ির ছবি উঠাচ্ছেন। সাটার স্পিড বেশি হলে স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে, কম হলে গতির কারনে চলমান অংশগুলি ঝাপসা হবে। আপনি কোনটি চান সেটা ঠিক করার জন্য সাটারস্পিড প্রায়োরিটি মোড ব্যবহার করবেন। সাটারস্পিড প্রায়োরিটি মোডে পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে এপারচার পরিবর্তিত হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখবেন।
আর যখন এপারচার এবং সাটার স্পিড দুটিই নিজের পছন্দমত ব্যবহার করতে চান তখন ম্যানুয়েল মোড। কাজের সুবিধের জন্য এপারচার অথবা সাটার স্পিড যেটা বেশি গুরুত্বপনুর্ন সেটা সিলেক্ট করে ক্যামেরায় অন্যটির মান দেখে নিতে পারেন।
কথাটা ঠিক। এই মোডগুলির পরও রয়েছে এপারচার প্রায়োরিটি এবং সাটার স্পিড প্রায়োরিটি বলে দুটি মোড। এবং সবশেষে ফুল ম্যানুয়েল বলে একটি মোড। যেখানে সাটারস্পিড, এপারচার থেকে শুরু করে সমস্ত সেটিং আপনি ঠিক করে দিতে পারেন।
বর্তমানের প্রায় সব কম্প্যাক্ট এবং এসএলআর ক্যামেরাতেই রয়েছে অনেকগুলি সিন মোড। সাধারনভাবে ছবি উঠানোর সময় আপনার ক্যামেরা থেকে পছন্দের সিন মোড ব্যবহার করবেন এটাই স্বাভাবিক। পেশাদার ফটোগ্রাফাররা সেটিং এরজন্য ক্যামেরার ওপর নির্ভর করেন না। তারা এই নিয়মের বাইরে ছবি উঠান। কারন একটাই, তারা নিজের পছন্দের কিছু চান। এবং শুনে অবাক হতে পারেন, সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় এপারচার প্রায়োরিটি মোড।
বিষয়টি বোঝার জন্য এপারচার কি কাজ করে একটু দেখে নেয়া যাক।
এপারচার হচ্ছে লেন্সের জানালা। যখন পুরোটা খোলা থাকে তখন বেশি আলো প্রবেশ করে, যখন কম খোলা থাকে তখন কম আলো প্রবেশ করে। এপারচার প্রকাশ করা হয় সংখ্যা দিয়ে। ছোট সংখ্যা বেশি এপারচার বুঝায়। যেমন ৩.৫ এপারচারে ক্যামেরায় যে আরো প্রবেশ করবে ২২ এপারচারে তারথেকে আলো অনেক কম পাওয়া যাবে।
কাজেই, এপারচার কন্ট্রোল করার একটি প্রধান কারন সঠিক আলো ব্যবহার। বাইরে যদি আলো বেশি থাকে তাহলে সেটা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য এপারচারের মান কমাবেন (সংখ্যায় বাড়াবেন), আবার বিপরীতভাবে আরো কম থাকলে বেশি আলো পাবার জন্য এপারচার বাড়াবেন (সংখ্যা কমাবেন)। এপারচার কতটাগুরুত্বপুর্ন জানার জন্য এসএলআর এর লেন্সের দামের পার্থক্য একটু জেনে নিন। সর্বোচ্চ ৩.৫ এপারচারের লেন্স কেনা যায় কয়েকশ ডলারে, সর্বোচ্চ ২ এপারচারের লেন্সের দাম কয়েক হাজার ডলার।
কাজেই এপারচারের কাজ আলো নিয়ন্ত্রন করা থেকেও বেশি কিছু। এপারচার যত ছোট হয় ডেপথ অব ফিল্ড তত বেশি হয়। যেমন আপনি ল্যান্ডস্কেপের ছবি উঠাচ্ছেন যেখানে সামনের গাছপালা, দুরের পাহাড়, আকাশে মেঘ সবকিছুই স্পষ্টভাবে পেতে চান। সেক্ষেত্রে বেশি এপারচার ভাল ফল দেবে। কেউ কেউ নির্দিস্ট করে বলে দেন ল্যান্ডস্কেপের জন্য আদর্শ এপারচার সেটিং হচ্ছে ২২।
আর এপারচার যত বেশি হয় ডেপথ অব ফিল্ড তত কম হয়। একেবারে অল্প কিছু যায়গার বিষয়কে স্পষ্ট দেখা যায়, তারপরই বাকি অংশগুলি ঝাপসা হতে থাকে। আপনি একটি ফুলের ছবি উঠাচ্ছে যেখানে অন্যান্য ফুল-গাছপালাগুলি ঝাপসা দেখা যাবে, এজন্য বেশি এপারচার প্রয়োজন।
আপনি যখন এপারচার প্রায়োরিটি মোডে ছবি উঠাচ্ছেন তখন খুব সহজেই এপারচার পরিবর্তনের সুযোগ আপনার হাতে থাকছে। এপারচার প্রায়োরিটি মোডে এপারচার পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে সাটারস্পিড পরিবর্তিত হয়। কাজেই ওভারএক্সপোজার কিংবা আন্ডার এক্সপোজারের ভয় নেই। সেকারনেই এপারচার প্রায়োরিটি মোডের ব্যবহার এত বেশি।
সাটার স্পিড প্রায়োরিটি বিষয়টি বোঝা সেতুলনায় সহজ। আপনি হয়ত উড়ন্ত পাখি কিংবা চলন্ত গাড়ির ছবি উঠাচ্ছেন। সাটার স্পিড বেশি হলে স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে, কম হলে গতির কারনে চলমান অংশগুলি ঝাপসা হবে। আপনি কোনটি চান সেটা ঠিক করার জন্য সাটারস্পিড প্রায়োরিটি মোড ব্যবহার করবেন। সাটারস্পিড প্রায়োরিটি মোডে পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে এপারচার পরিবর্তিত হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখবেন।
আর যখন এপারচার এবং সাটার স্পিড দুটিই নিজের পছন্দমত ব্যবহার করতে চান তখন ম্যানুয়েল মোড। কাজের সুবিধের জন্য এপারচার অথবা সাটার স্পিড যেটা বেশি গুরুত্বপনুর্ন সেটা সিলেক্ট করে ক্যামেরায় অন্যটির মান দেখে নিতে পারেন।
0 comments:
Post a Comment